আমাদের কলেজের ভিশন ও মিশন
শিক্ষা মানব জীবনে একটি অপরিহার্য বিষয়। মানুষকে মানবীয় গুণের অধিকারী করার জন্য শিক্ষা যে একটা প্রাথমিক এবং প্রয়োজনীয় কৌশল তা প্রত্যেক সমাজ ব্যবস্থাতেই স্বীকৃতি লাভ করেছে। বিশ্বের জাতিসমূহের মধ্যে একটি বিশেষ জাতির অবস্থান কোথায়, তা চিহ্নিত করা যায় শিক্ষার মাধ্যমে, কারণ শিক্ষা জাতির একটি কল্যাণকর দিক। মানুষের জন্মগত সম্ভাবনাকে প্রস্ফুটিত করার জন্য কৃষ্টি ও সংস্কৃতির প্রবাহকে সজাগ রাখার জন্য শিক্ষা একান্ত প্রয়োজন। শিক্ষা দ্বারাই উন্মোচিত হয় একটি জাতির ভবিষ্যতের সিংহদ্বার। শিক্ষাই আনবে একজন ব্যক্তির জীবনে পরিপূর্ণতা। তাই যে কোনো জাতির জন্য শিক্ষা ব্যক্তিকল্যাণ ও সমাজকল্যাণের পথে গড়ে তুলবে নতুন ও আদর্শ সমাজব্যবস্থা।
সবধরণের মানবসমাজে শিক্ষার অন্যতম মৌল কর্মকান্ড বলে বিবেচনা করা হয়। এটি সুস্থ সমাজজীবনের চালিকাশক্তি। শিক্ষা হলো এমন এক শক্তি যা মানুষের পশুত্বকে বিসর্জন দিয়ে মনুষত্বকে জাগরিত করে। এর মাধ্যমেই সামাজিক ঐতিহ্য এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে স্থানান্তরিত হয়। শিক্ষা হচ্ছে মানুষের বিদ্যা-বুদ্ধির এরুপ উন্নয়ন, যার ফলে সে সত্য, সুন্দর ও শিষ্টতার অনুরাগী হয়ে উঠতে পারে। শিক্ষার অর্থ হচ্ছে মানুষের দেহ ও মনের সুষম ও পরিপূর্ণ বিকাশের মাধ্যমে তাকে জীবনের প্রকৃত মাধুর্য ও পরম সত্য উপলব্ধি করতে সমর্থ করে তোলা।
শিক্ষার ইংরেজি Education শব্দটি Latin শব্দ Educare থেকে এসেছে। যার অর্থ লালন পালন করা বা বিকাশ ঘটানো। সে অর্থে শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিভঙ্গি ও আচার -অভ্যাসকে পরিশীলিত করাকেই বুঝায়। যার মাধ্যমে সে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ সার্থকভাবে মোকাবিলা করতে পারে।
শিক্ষা সম্পর্কে সক্রেটিস বলেন, “শিক্ষা হলো মিথ্যার আপনোদন ও সত্যের আবিষ্কার।” অর্থাৎ মিথ্যাকে পরিহার করে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করাই হচ্ছে শিক্ষা।
প্লেটো শিক্ষার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেন, “ By Education I mean that training which is given by suitable habits to the first instincts of value in children’s, When Pleasure and pain are rightly implanted in non-rational souls”. অর্থাৎ শিক্ষা হচ্ছে এমন এক ধরণের প্রশিক্ষণ, যার মাধ্যমে সমাজের সন্তান-সন্ততিরা উপযুক্ত মূল্যবোধে উদ্ধুদ্ধ হয় এবং তাদের আচার-আচরণ, অভ্যাস ও সহজাত প্রবৃত্তি পরিশীলিত হয়।
শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী দক্ষিণবঙ্গের বিদ্যাপীঠ সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ফরিদপুর এ অঞ্চলের মানুষের শিক্ষার বাতিঘর। বৃহত্তর ফরিদপুর সহ আশে পাশের প্রায় ত্রিশ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রতিনিয়ত শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানটি। করোনাকালীন সময়ে শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হলেও অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি তার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। তবে করোনা পরবর্তি সময়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অধ্যক্ষ প্রফেসর অসীম কুমার সাহার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি তার সামগ্রীক কার্যক্রম নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে।
অত্র প্রতিষ্ঠানের ভিশন ও মিশন
প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে পাঠ্যক্রম ও সহপাঠ্যক্রম কর্মসূচীর মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের মেধা, শারীরিক ও মানসিক বৃত্তিগুলোর বিকাশ এবং উৎকর্ষ সাধন করে নৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় বিকাশের সর্বপ্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করা, সর্বোপরি ভাল ফলাফল অর্জন করে যাতে তারা সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে এবং দেশ ও জাতিকে উপযুক্ত নেতৃত্ব দিতে পারে।
- সমাজের অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের সন্তানদের স্বল্প খরচে মানসম্মত শিক্ষাপ্রদান।
- নিরলস জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা।
- শিক্ষার্থীদের চিন্তায়, চেতনায় এবং কর্মে সৃজনশীলতা, জনকল্যাণ ও মানব সেবাবোধ জাগ্রত করে তোলা।
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রয়োজনীয় অনুশীলন ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শৃঙ্খলাবোধ, শ্রমের মর্যাদা, নৈতিক, মানবিক, সামাজিক,আচরণিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগ্রত করা।
- শিক্ষার্থীদের মননে-কর্মে ব্যবহারিক জীবনে মূল্যবোধ ও চারিত্রিক গুনাবলি উম্মেষ ঘটানো।
- শিক্ষার্থীদের জাতীয় জীবনে সকল স্তরে নেতৃত্বদান ও কর্ম সম্পাদন যোগ্যতা সম্পন্ন সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তোলা।
- প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পরবর্তী উচ্চ শিক্ষার স্তরের জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তোলা।
- ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ একটি প্রত্যয়, একটি স্বপ্ন, এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে ছাত্র-ছাত্রীদের কর্মতৎপর হিসেবে গড়ে তোলা।
- শিক্ষার্থীদের জাতীয় জীবনে সকল স্তরে নেতৃত্বদান ও কর্ম সম্পাদন যোগ্যতা সম্পন্ন সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তোলা।
- সমাজ সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করে ছাত্র-ছাত্রীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত তৈরিতে উদ্ধুদ্ধ করা।
- উন্নত শিক্ষার অভাবে জন্মগতভাবে পাওয়া সৃজনশীল ক্ষমতা অকালে ঝরে পড়ে যায়। সযত্নে এ সমস্ত ছেলে মেয়েদেরকে উপযোগী জ্ঞান এ বিজ্ঞান দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করা।
- সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা, কল্পনা, সৃজন শক্তির লালন, বিকাশ ও প্রসার সাধনে তৎপর থেকে আদর্শ, ন্যায়-পরায়ণ ও সত্যনিষ্ঠ মানুষ হিসেবে সুমহান আস্থা তৈরিতে সচেষ্ট থাকা।
- শিক্ষা মানুষের নৈতিক চরিত্র গঠনের একমাত্র উপায়। কারণ নৈতিক চরিত্রের মাধ্যমে মানুষের জৈবিক চাহিদাগুলো যথাযথভাবে পরিচালনার মাধ্যমে জীবনে সার্থক করে তুলে ।
- শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তি জীবনের পরিপূর্ণতা বিকাশ, দৈহিক ও মানসিক গুণাবলির সুপ্ত বিকাশ ঘটানো।
- শিক্ষার সামাজি সাংস্কৃতিক লক্ষ্য হচ্ছে সমাজের ঐক্য ও শৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং সামাজিক আদর্শ ও মূল্যবোধকে বজায় রাখা।
- শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার গণতান্ত্রিক আদর্শে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা অর্জন করা।
- শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো সামাজিক বৃত্তিকে সুদৃঢ় করা এবং সামাজিক অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করা।
- সক্রেটিসের মতে, “শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো নিজেকে জানা।” মানুষের আত্বজ্ঞানই হলো শিক্ষার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
- মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ ও দেশজ আবহ ও উপাদানভিত্তিক শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক অনুসরণ করা। কলেজে আনন্দময় অনুকুল পরিবেশ তৈরি করে ছাত্রদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ব্যবস্থা করা।
- মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উদ্দীপ্ত করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর দেশাত্মবোধের বিকাশ ও দেশ গঠনমূলক কাজে তাকে উদ্ধুদ্ধ করা।
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে কায়িক শ্রমের প্রতি আগ্রহ ও মর্যাদাবোধ এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষা সম্বন্ধে প্রাথমিক ধারণা সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্যবস্থা করা।
এইসব লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে অত্র কলেজটি দেশ ও সমাজের কাছে একটি অনুকরণীয় মডেল হিসাবে উপস্থাপন করার প্রচেষ্টায় আমাদের মাননীয় অধ্যক্ষ প্রফেসর অসীম কুমার সাহা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এজন্য তিনি বিশাল কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়েছেন যেগুলো নিন্মে উল্লেখ করা হলোঃ-
ডিজিটাইজেশনঃ শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের ব্যাংকিং (আর্থিক পেমেন্ট) সংক্রান্ত জটিলতার অবসান, কাউন্টারে লাইন, ব্যাংকে লাইন, বিভাগে দৌড়াদৌড়ি, আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করণ।
- শিক্ষার্থীদের ডাটাবেইজ প্রণয়ন – আগে শিক্ষার্থীদের তথ্য খুজে পাওয়া যেতোনা কিন্তু বর্তমানে ইপেমেন্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের তথ্য এক ক্লিকেই খুজে পাওয়া যাচ্ছে।
- শিক্ষার্থীরা তার নিজস্ব স্মার্ট মুঠোফোনের মাধ্যমে সকল ধরনের ফি এবং ফরম ফিলাপ করতে পারছে।
- শিক্ষার্থীদের জন্য প্লে স্টোরে রয়েছে মোবাইল এপস যার মাধ্যমে তাদের যাবতীয় কাজ সম্পাদন করতে পারবে। (এপসের কাজ চলমান)
- রাজেন্দ্র কলেজের বর্তমান ওয়েব সাইট এ২আই এর পাইলট প্রজেক্ট। সারা বাংলাদেশের সকল সরকারি কলেজে রাজেন্দ্র কলেজের ওয়েব সাইটকে পাইলট ধরে এ২আই কাজ করছে।
- শিক্ষার্থীদের ফলাফল ওয়েব সাইটের মাধ্যমে প্রকাশ এবং এডমিট কার্ড ও নম্বরপত্র প্রদান।
- সেইভ দি পেপার স্লোগানকে সামনে রেখে ই-নথির কার্যক্রম নিয়ে একটি টিম কাজ করে যাচ্ছে।
- ই-নোটিশ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিভাগ, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্য নোটিশ পাঠানো এবং পুশ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে সকল শিক্ষার্থীর মুঠোফোনে বার্তা প্রেরণ।
- বায়োমেট্রিক এটেন্ডেসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাজিরা নিশ্চিতকরণ এবং অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের কাছে বার্তা প্রেরণ।
- কলেজের দুটি ক্যাম্পাসকে একটি নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং ১২০ টি আই পি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করার জন্য কাজ চলমান রয়েছে।
একাডেমিক কার্যক্রমঃ
- কলেজের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য কলেজ কার্যক্রমের শুরুতে এসেম্বলি, জাতীয় সংগীত এবং শপথের মধ্য দিয়ে পাঠদান শুরু।
- এইচ এস সি শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ ও তাদের লেখা পড়ার মানোন্নয়নে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যবেক্ষণ ও পরিবীক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়েছে যারা নিবিড়ভাবে শিক্ষার্থীদের মনিটরিং করছে।
- এইচ এস সি শিক্ষার্থীদের মনিটরিং এর জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে, পরীক্ষায় খারাপ ফলাফল, অনুপস্থিতির জন্য তার অভিভাবককে ডেকে মুচলেকা গ্রহন এবং ভালো ফলাফলের অঙ্গীকার গ্রহন।
- অনার্সের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য কোর্সভিত্তিক ক্লাস টেস্ট গ্রহন। এবং বিভিন্ন মোটিভেশন কার্যক্রম গ্রহন।
- অনার্সের শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভাগভিত্তিক সেমিনারের আয়োজন।
জাতীয় দিবস পালনঃ
- বিজয় দিবস পালনঃ ১৬ দিনব্যাপী কলেজের প্রশাসনিক চত্বরের সামনে প্যান্ডেল টানিয়ে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক তথ্যচিত্র, প্রামাণ্যচিত্র এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শন সেই কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী কতৃক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা এবং মঞ্চনাটক প্রদর্শন। প্রতি বিভাগ থেকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইউনিফর্ম ব্যান্যারের মাধ্যমে বিজয় র্যালী।
- ভাষা দিবস উদযাপনঃ যথাযথ মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন এবং কলেজের নিজস্ব শহীদ মিনারে প্রতি বিভাগ থেকে ফুলের মাল্য প্রদান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইউনিফর্ম ব্যান্যারের মাধ্যম প্রভাত ফেরীর আয়োজন।
- একই ভাবে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ।
- জাতীয় শোকদিবস উদযাপনঃ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ১৯টি বিভাগ, ডিগ্রী এবং একাদশ শ্রেণিতে কলেজের দক্ষ শিক্ষক দ্বারা আলোচনা অনুষ্ঠান এবং কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন এবং কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান কুইজ প্রতিযোগীতার আয়োজন এবং ১১৫ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ।
কো কারিকুলার এক্টিভিটিসঃ
- আন্তবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজনঃ প্রথমে আন্তবর্ষ ফুটবল প্রতিযোগিতার মাধ্যমে টিম গঠন এবং পরবর্তিতে আন্তবিভাগ ফুটবল খেলার আয়োজনের মাধ্যমে কলেজের জমজমাট অবস্থায় ফিরে আসা।
- আন্তবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন।
- কলেজের নিজস্ব শিল্পী বাছাই এবং বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন বিশেষকরে কলেজের বসন্ত বরন উৎসব সারা বাংলাদেশেই আলোচিত।
বাবু অম্বিকাচরণ মজুমদারের জন্মদিবসঃ বাবু অম্বিকাচরন মজুমদারের জন্মদিবসে ছাত্র-শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান, কেক কাটা এবং মিষ্টি বিতরণ।
কৃতি শিক্ষার্থী সম্বর্ধনাঃ এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট এবং মেডিকেলে রাজেন্দ্র কলেজের যে সকল শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছে তাদের সম্বর্ধনার (ফুলেল শুভেচ্ছা,ক্রেস্ট প্রদান) মাধ্যমে বর্তমান শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পাঠ ও মূল্যায়নঃ একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশপ্রেম ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করার জন্য প্রথমে ৭৫০ কপি বই বিতরণ করে তাদের পাঠ করানো হয় এবং পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করে এককালীন অর্থবৃত্তি, মহামূল্যবান বই, ক্রেস্ট, সনদ প্রথম ১০জনকে বিতরণ করা হয়। উল্লেখ্য এ অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সম্মানীত ডিজি মহোদয় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ বছরও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ করা হয়েছে এবং খুব দ্রুতই মূল্যায়ন কাজ শুরু হবে।
কলেজ সবুজায়নঃ গ্রীন ক্যাম্পাস এই স্লোগানকে সামনে রেখে বর্তমান অধ্যক্ষ কলেজের দুই ক্যাম্পাসে ফলজ,ভেষজ এর ১২০০ গাছ লাগিয়েছে এবং চারপাশ দিয়ে কাটাতারের বেড়া দিয়ে সেটিকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। অধ্যক্ষ মহোদয় এগুলো পরিচর্যা করার জন্য নিয়মিত তদারকি করছেন।
উন্নয়ন কার্যক্রমঃ কলেজের শতবর্ষী ভবনের ১০ তলার ছাদ ঢালাই হবে। কলেজের মসজিদের ওযুখানা নির্মান হয়েছে। নবনির্মিত ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস চালু হয়েছে। ছাত্রাবাসে আধুনিক মানের একটি পাঠাগার নির্মিত হয়েছে। কলেজের প্রধান গেইটের পাশে শিক্ষক ক্লাবের সামনে সুন্দর ফুলের বাগান তৈরি করে দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে। একাডেমিক ভবনের সামনে দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান তৈরি করা হয়েছে। একাডেমিক ভবনের ১০৪ ও ১০৫ নম্বর কক্ষকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার এবং উচ্চমাধ্যমিকের পাঠাগার হিসেবে সাজানো হচ্ছে। এবং কলেজের প্রশাসনিক চত্বরে দুইপাশে টেরাকোটা সহ ৩০ ফিট উচু বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মানের কাজ এগিয়ে চলছে। কলেজের একটি অডিটোরিয়ামের জন্য মাউশি ডিজি মহোদয়ের মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।