Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৫ মার্চ ২০২৩

অনুষদ: ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ
বিভাগ: মার্কেটিং

  • বিভাগ বৃত্তান্ত
  • বিভাগ প্রধান
  • প্রাক্তণ বিভাগ প্রধানগণ
  • শিক্ষক মন্ডলী
  • পাঠ্যসূচী
  • ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ
  • বিজ্ঞপ্তি সমূহ
  • ফলাফল সমূহ
  • গবেষণা পত্র
  • নিত্য কার্যশূচি
  • বাজেট বিন্যাস
  • সম্মান ফলক
  • যোগাযোগ

প্রোফাইল

মার্কেটিং বিভাগের ইতিকথা

                               

বিগত শতাব্দীর প্রথম ভাগ পর্যন্ত বৃহত্তর ফরিদপুরের এই অঞ্চলে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের তেমন কোন সুযোগ ছিল না। এমতাবস্থায় ফরিদপুরের কৃতি সন্তান, নিখিল ভারত কংগ্রেসের সভাপতি, খ্যাতনামা আইনজীবী ও সমাজসেবক শ্রী অম্বিকাচরণ মজুমদার এই অঞ্চলে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসেন। মূলত এই আলোকিত মানুষটির অক্লান্ত প্রচেষ্টা ও সাহসী নেতৃত্বে ১৯১৮ সালে রাজেন্দ্র কলেজের যাত্রা শুরু। তবে কলেজ প্রতিষ্ঠার পথচলা উপরোক্ত বাক্যটির শাব্দিক বর্ণনার মত এতটা সহজতর ছিল না। ১৯১৫ সালের ১৫ নভেম্বর অম্বিকা চরণ মজুমদারের নেতৃত্বে কলেজ প্রতিষ্ঠায় একটি কমিটি গঠিত হয়। অম্বিকা চরণের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কমিটি প্রাথমিকভাবে কিছু অর্থ যোগাড়ে সমর্থ হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ঠ ছিল না। এমতাবস্থায় অম্বিকা চরণ মজুমদারের অনুরোধে তাঁর মক্কেল ফরিদপুরের বাইশরসির জমিদার রমেশ চন্দ্র চৌধুরী তাঁর প্রয়াত পিতা রাজেন্দ্র চন্দ্র চৌধুরীর নামে কলেজের নামকরণের শর্তে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার  প্রস্তাব করেন। কলেজ প্রতিষ্ঠাতা কমিটি তার এই প্রস্তাবে রাজী হয়ে কলেজের নাম রাজেন্দ্র কলেজ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এরপর কলেজের জন্য জমি প্রাপ্তি ও কলেজ অধিভুক্তির প্রক্রিয়া নিয়েই কেটে যায় বেশ অনেকটা সময়। অনেক কাঠ-খড় পোড়ানোর পর অবশেষে ১৯১৮ সালের ১৩ মে ভারত সরকার কলেজ অধিভুক্তির অনুমোদন দেয় এবং ফরিদপুর শহরের পূর্ব পাশে খেলার মাঠের (বর্তমান শহর ক্যাম্পাস) ৫.৫ একর জমি বার্ষিক এক টাকা খাজনার বিনিময়ে কলেজের নামে মঞ্জুর করেন। ১৯১৮ সালের ১ জুন কামাখ্যা নাথ মিত্র কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন। ১৯১৮ সালের ১ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়, রোপিত হয় এক চারাগাছ আজ যা বিশাল মহীরুহে পরিনত হয়েছে। পরবর্তীতে ১৯৬৮ সালে কলেজের নতুন ভবন নির্মাণ ও সম্প্রসারণের প্রয়োজনে বায়তুল আমান ক্যাম্পাসের কাজ শুরু হয়। এ বছরেই কলেজটিকে প্রাদেশিকীকরণ করা হয় এবং সরকারিভাবে অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর শিব প্রসন্ন লাহিড়ী। কলেজটিতে ১৯৭১-৭২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ৬টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু হয়। বর্তমানে এখানে ১৯টি বিভাগে অনার্স ও ১৬টি বিভাগে মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে। বর্তমানে এই কলেজের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার ও শিক্ষকের পদ ১৭০ টি। এভাবেই এগিয়ে চলেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী  এই বিদ্যাপীঠ।

   ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষায়তনের অন্যতম সমৃদ্ধ একটি বিভাগ হল মার্কেটিং বিভাগ। ২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষে বি.বি.এ কোর্স চালুর মাধ্যমে বিভাগটির পথচলা শুরু। বিভাগটি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন অত্র কলেজের প্রয়াত অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মাহাবুবুর রহমান যিনি পরবর্তীতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ অলঙ্কৃত করেন। মার্কেটিং বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন জনাব গোবিন্দ চন্দ্র বিশ্বাস, সহযোগী অধ্যাপক, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ। এছাড়াও প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক হিসেবে বিভাগের সাথে সংযুক্ত ছিলেন জনাব মোঃ বিলাল হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক, ব্যবস্থাপনা ; জনাব মুহাম্মদ আবদুস সামাদ, সহকারি অধ্যাপক, হিসাববিজ্ঞান ; জনাব মুহাম্মদ ইয়াদ আলী, প্রভাষক, ব্যবস্থাপনা ; জনাব রণজয় কুমার দে, সহকারি অধ্যাপক, ব্যবস্থাপনা এবং জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক, মার্কেটিং। অত্র বিভাগে প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬০ জন। বিভিন্ন সময়ে মার্কেটিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন জনাব গোবিন্দ চন্দ্র বিশ্বাস (১২/০১/১১-২৩/০১/১১) ; জনাব শামীম আহমেদ (২৪/০১/১১-০৭/১০/১২) এবং জনাব মোঃ ওছমান গনি (০৮/১০/১২-চলমান)। উল্লেখ্য, তত্কালীন অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অত্র বিভাগে ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষে এম.বি.এ কোর্স চালু হয়। 

 

কলেজের বায়তুল আমানস্থ ক্যাম্পাসের  বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের ২য় তলায় বিভাগের অবস্থান। এই  বিভাগের শিক্ষা এবং অবকাঠামোগত সুবিধা যথেষ্ট সন্তোষজনক। বিভাগটিতে রয়েছে ৩টি শ্রেণিকক্ষ, ১টি শিক্ষক মিলনায়তন এবং একটি সুসজ্জিত সেমিনার কক্ষ যেখানে শিক্ষার্থীরা বইয়ের পাশাপাশি দৈনিক পত্রিকা ও বিভিন্ন সাময়িকী পড়ার সুযোগ পায় । বিভাগের সেমিনারে নতুন-পুরনো মিলিয়ে প্রায় ৬০০০টি বই রয়েছে। এখানে পাঠ্য বই এর পাশাপাশি শিল্প-সাহিত্য, বিজ্ঞান ও ভ্রমণ বিষয়ক বৈচিত্র্যয়ময় বইয়ের ভান্ডার রয়েছে। বিভাগে বর্তমানে ৩ জন শিক্ষক কর্মকর্তা এবং ২ জন খন্ডকালীন শিক্ষক কর্মরত আছেন।  সহযোগী অধ্যাপক পদমর্যাদার  শিক্ষক-কর্মকর্তা জনাব মোঃ ওছমান গনি, বি.কম (অনার্স), এম.কম (মার্কেটিং), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন । অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে আছেন জনাব রাকিবুল হাসান, প্রভাষক (মার্কেটিং), বি.কম (অনার্স), এম.বি.এস (হিসাব বিজ্ঞান), বি.এড; জনাব মোঃ নূর হোসাইন, প্রভাষক (মার্কেটিং), বি.বি.এ, এম.বি.এ (মার্কেটিং), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এম.এড (নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়, মালয়েশিয়া); জনাব সুপ্রিয়া বিশ্বাস, খন্ডকালীন শিক্ষক, বি.বি.এ, এম.বি.এ (মার্কেটিং), জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং জনাব বিভাস কুমার পাল, খন্ডকালীন শিক্ষক, বি.বি.এ (মার্কেটিং), জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  ।

 

বর্তমানে এ বিভাগে প্রায় ১৩১৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এই বিভাগ থেকে পড়ালেখা শেষ করে অনেকেই এই বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।  পরবর্তী সময়ে অনেকেই সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বর্তমানেও করে চলছেন। নিয়মিত শ্রেণি পাঠের পাশাপাশি অত্র বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমেও অগ্রগামী।  উল্লেখ্য, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২২ এ মার্কেটিং বিভাগ রানার-আপ ট্রফি অর্জন করে। এছাড়াও অত্র বিভাগের শিক্ষার্থী জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে কলেজের মুখ উজ্জল করে।

একজন আলোকিত মানুষ অম্বিকা চরণ মজুমদারের হাত ধরে রাজেন্দ্র কলেজ নামে যে জ্ঞানালোক শিখা প্রজ্জ্বলিত হয়েছিল বিশ শতকের গোড়ার দিকে, আজো তা জ্বাজল্যমান। এ শিখা আলো ছড়িয়ে যাবে কাল থেকে কালান্তরে, সেই সাথে সমৃদ্ধ হবে এ কলেজের ঐতিহ্যের অভিজ্ঞান- এটাই সকলের প্রত্যাশা।

 

প্রোফাইল

ছবি নাম পদবি
চঞ্চল কুমার দাস অধ্যাপক

প্রোফাইল

প্রোফাইল

ছবি নাম পদবি
বায়েজীদ বোস্তামী খাঁন সহকারী অধ্যাপক
রাকিবুল হাসান প্রভাষক

প্রোফাইল

প্রোফাইল

প্রোফাইল

প্রোফাইল

প্রোফাইল

প্রোফাইল

প্রোফাইল

প্রোফাইল

প্রোফাইল